প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০১৯, ০৫:৪৫:৫০ |
প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে জীবন উৎসর্গ করেন সেন্টু
অনলাইন ডেস্ক
২০০৪ সালে আজকের দিনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে দলের সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংস ও বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা কেড়ে নিয়েছিল ২৪ নেতাকর্মীর প্রাণ। তাদেরই একজন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহসম্পাদক বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রামারপোল গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ সেন্টু। আকস্মিকভাবে গ্রেনেড হামলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চের সামনে দর্শক সারিতে বসা সেন্টু প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে একলাফে মঞ্চে উঠে অন্যদের নিয়ে নেত্রীকে জড়িয়ে থাকেন। ফলে গ্রেনেডের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত সেন্টু মারা যান। এখনও বিচার পাওয়ার আশায় স্বজন হারানোর দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন নিহত সেন্টুর পরিবার। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহযোগিতা চান না, তারা নিহতের পরিবারকে সঠিক মূল্যায়নের পাশাপাশি নৃশংস ওই হামলায় জড়িত সকল অপরাধীর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি করেছেন।
চার বছর বয়সে বাবাকে হারানো সেন্টুর একমাত্র কন্যা আফসানার কাছে তার বাবার কথা জানতে চাওয়া খুব সহজ ছিল না, তারপরেও যা পাওয়া গেল তা শুধুই চোখের জল। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত বাবার স্নেহ-ভালবাসা ছাড়া বড় হয়ে ওঠা আফসানাকে নিয়েই এখন সেন্টুর স্ত্রী আইরিন সুলতানা বেবির জীবন। বিবাহ বার্ষিকীর একদিন আগে স্বামীকে হারানো বেবির স্মৃতিতে আজো সব কিছুই দগদগে।
সেন্টুর স্ত্রী আইরিন সুলতানা বেবি বলেন, আমাদের তো কিছুই চাওয়ার নেই। আপা (শেখ হাসিনা) যদি বছরে একবার হলেও বলেন, তোমাদের কোন চিন্তা নেই, আমি তোমাদের পাশে আছি। এতোটুকু সান্তনাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। এর বেশি আর আমাদের কিছুই চাওয়ার নেই। পাশাপাশি দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়ানো সেন্টুর পরিবারের সদস্যরা চান নৃশংস ওই হামলায় জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা। তারা মনে করেন, এতে ফিরে পাওয়া যাবে না তাদের হারানো স্বজনকে কিন্তু এ ধরনের নৃশংস হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব হবে।
সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নিহতের নিজ এলাকা মুলাদী উপজেলার রামারপোল শহীদ মোস্তাক আহমেদ সেন্টু স্মৃতি সংঘের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং সেন্টুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাজিব হোসেন ভূঁইয়া রাজু বলেন, সমাবেশ চলাকালীন সেন্টু ভাইয়ের সঙ্গে আমি মঞ্চের সামনে দর্শক সারিতে বসে নেত্রীর ভাষণ শুনছিলাম। আকস্মিকভাবে গ্রেনেড হামলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেন্টু ভাই প্রিয় নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) রক্ষা করতে এক লাফে মঞ্চে উঠে অন্যদের সঙ্গে নেত্রীকে ঘিরে রাখেন। একপর্যায়ে আমি (রাজু) নিরাপদ আশ্রয়ে যাই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত সেন্টু ভাইকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে বসে শরীর থেকে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বের করতে সেন্টু ভাইকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। অপারেশন চলাকালীন ওইদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে সেন্টু ভাই মারা যায়। জনকণ্ঠ।
এই পাতার আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদসর্বাধিক পঠিত
- ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে ৩.৭৬ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি
- খুলনায় ডেঙ্গুতে আরো এক নারীর মৃত্যু
- সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে, তাপমাত্রা কমবে
- মেয়েদের নামে ফেসবুকে আইডি খুলে প্রতারণা দায়ে আটক ৫
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লন্ডন গেলেন রাষ্ট্রপতি
- চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে এক ব্যক্তির মৃত্যু
- সদরঘাটে আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য আটক
- ময়মনসিংহে ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভাল’ সেপ্টেম্বরে
- এরশাদ দেশ ও মানুষের স্বার্থে কখনো আপস করেননি: জিএম কাদের
- আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় নেই ১৯ লাখ
- সদরঘাটে আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য আটক
- জুনিয়র অফিসার ও অন্যান্য পদে কর্মী নেবে বিকাশ
- আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় নেই ১৯ লাখ
- মেয়েদের নামে ফেসবুকে আইডি খুলে প্রতারণা দায়ে আটক ৫
- প্রকল্প প্রকৌশলী নেবে মধুমতি ব্যাংক
- সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে, তাপমাত্রা কমবে
- ময়মনসিংহে গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভাল সেপ্টেম্বরে
- বিএনপি খুনিদের দল: শেখ হাসিনা
- এরশাদ দেশ ও মানুষের স্বার্থে কখনো আপস করেননি: জিএম কাদের
- টেস্টে ফিরলেন সাকিব-তাসকিন-মোসাদ্দেক